,

বাংলাদেশে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে আরব আমিরাত

বিডিনিউজ ১০ রিপোর্টসংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের কয়েকটি প্রকল্পে ১০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করার পাশাপাশি পাঁচটি মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

১৫ সেপ্টেম্বর দুবাইয়ে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরামের দ্বিতীয় সম্মেলনে এসব প্রকল্প ও বিনিয়োগ প্রস্তাব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আরব আমিরাতের ব্যবসায়ীদের আলোচনা হয়। খবর আরব নিউজের।

এটি প্রথমবারের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসী বাংলাদেশি পেশাদার ও উদ্যোক্তাভিত্তিক বেসরকারি খাতের উদ্যোগে বাংলাদেশ ইকোনমিক ফোরাম আয়োজিত উপসাগরীয় আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ সম্মেলন।

দিনব্যাপী এ সম্মেলনে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ধারাকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষে ৩০০ এর বেশি সরকারী কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী নেতা, বিনিয়োগকারী এবং উদ্যোক্তা অংশ নেন।

সেখানে সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক কয়েকটি বড় ব্যবসায়ী গ্রুপের আলোচনা হয়, যারা বাংলাদেশে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাই-টেক পার্ক গড়ে তোলার আগ্রহ দেখিয়েছেন।

তাদের এই আগ্রহের প্রতি সম্মান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ভিত্তিক স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখে আমি অত্যন্ত খুশি।

তিনি বলেন, আমরা চীন, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বড় আকারের বিনিয়োগ পেয়েছি। এখন আমরা মনে করি, জিসিসিভুক্ত (উপসাগরীয়) দেশগুলো, বিশেষ করে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের উচিত বাংলাদেশে বিনিয়োগ করে স্বল্প খরচে ভালো লাভের সুযোগ নেয়া।

উপসাগরীয় দেশগুলো এবং আরব বিশ্বের বিনিয়োগ বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে এবং আমরা তাদের স্বাগত জানাতে সর্বদা প্রস্তুত, বলেন তিনি।

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের মিশনের বাণিজ্য সচিব কামরুল হাসান বলেন, এখানে একটি ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এছাড়া এই সম্মেলনটি বাংলাদেশের জন্য একটি ইতিবাচক দিক।

বাংলাদেশের পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, এটি দেশের জন্য সবচেয়ে আকাঙ্ক্ষিত একটি বিষয়। কারণ টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতিবছর ৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রয়োজন।

তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে সর্বাধিক সহজাত নীতি রয়েছে। যার মাধ্যমে বিদেশী বিনিয়োগকারীরা শতভাগ মুনাফা নিজ দেশে ফেরত নেয়ার সুযোগটি গ্রহণ করতে পারছেন।

শামসুল আলম বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাই-টেক পার্ক গড়ে তুলছে। যার মধ্যে ১৫টির কাজ আগামী ৫ বছরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।

এছাড়া প্রত্যাশা অনুযায়ী ৮ শতাংশের বেশি জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতে বাংলাদেশের প্রচুর বিনিয়োগ প্রয়োজন যা কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করবে।

এক্ষেত্রে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জিসিসিভুক্ত দেশগুলো হতে পারে বাংলাদেশে বিনিয়োগের বড় উৎস।

এই বিভাগের আরও খবর